ঢাকাসোমবার , ৩১ মে ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কাহারোল
  5. কুড়িগ্রাম
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খানসামা
  9. খেলা
  10. গাইবান্ধা
  11. ঘোড়াঘাট
  12. চাকরী বার্তা
  13. চিরিরবন্দর
  14. জাতীয়
  15. ঠাকুরগাঁও
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, মেডিক্যালে ভর্তি হয়ে মুন্নী বললেন, ‘গরিব মানুষের সেবা করবো’

দিনাজপুর বার্তা
মে ৩১, ২০২১ ১২:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মেডিক্যালে চান্স পেয়ে ভর্তি অনিশ্চয়তায় পড়া জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নীর স্বপ্নপূরণ হয়েছে। দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছেন। শুরু হলো তার নতুন যাত্রা।
গত ৭ এপ্রিল বিভিন্ন পত্রিকায় ‘মেডিক্যালে চান্স পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত মুন্নীর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি নজরে আসে দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের। তিনি মুন্নীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পড়ালেখার দায়িত্ব নেন।
চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গতকাল রোববার বেলা ১১টায় এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন বাবা বাকী বিল্লাহ মন্ডল ও ছোট ভাই মমিন হোসেন।
মেডিক্যাল কলেজে এসে মুন্নী আনন্দ ধরে রাখতে পারছিলেন না। হাসিমুখে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. নাদির হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ভর্তি হন।
ভর্তি কার্যক্রম শেষে মুন্নী বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমার স্বপ্নপূরণের সামর্থ্য ছিল না মা-বাবার। ভেবেছিলাম কোনোদিন স্বপ্নপূরণ হবে না। অবশেষে হলো। হুইপ ইকবালুর রহিমের সহযোগিতায় মেডিক্যালে পড়ার সুযোগ পেলাম। তার কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। ডাক্তার হয়ে গরিব-দুঃখী মানুষের সেবা করবো। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
বাবা বাকী বিল্লাল বলেন, ইকবালুর রহিম এমপির মতো মানুষ এদেশে আরও বেশি জন্ম নেওয়া প্রয়োজন। অসহায় ও গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে না পারলে সব কিছু থেকে বঞ্চিত হবো আমরা। আপনারা দোয়া করবেন, মুন্নী যেন ভবিষ্যতে ভালো ডাক্তার হয়ে সবার সেবা করতে পারে।
এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. নাদির হোসেন বলেন, মুন্নী যখন আমার কাছে আসে তখন চোখেমুখে উচ্ছ্বাস ছিল। হুইপ ইকবালুর রহিম চিকিৎসক তৈরির জন্য যে দায়িত্বগুলো নিচ্ছেন, তা শুধু দিনাজপুরের জন্য নয়; সারা দেশের জন্য দৃষ্টান্ত।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আমি জাতীয় সংসদ থেকে যে ভাতা পাই সে অর্থ মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ব্যয় করি। বর্তমানে এই মেডিক্যাল কলেজে পাঁচজন শিক্ষার্থী বিনা খরচে পড়াশোনা করছে। ইতোমধ্যে ১৪ জন এমবিবিএস পাস করেছেন। সবাইকে একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে ভালো চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষাবিদ, মানবসম্পদ ও বিজ্ঞানীসহ জ্ঞানী-গুণী মানুষ গড়ে উঠবে। এদেশ হবে উন্নয়নের প্রধান চাবিকাঠি। মানুষ সুখে শান্তিতে জীবনযাপন করবে। স্বপ্নপূরণ হবে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। পরিশ্রম সার্থক হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রমে ৩১১০তম হয়ে এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান সুজানগরের ভ্যানচালকের মেয়ে মুন্নী। তিনি পাবনা মেডিক্যাল কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন। ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ৬৯.৭৫ নম্বর। শিক্ষা জীবনজুড়েই আর্থিক দুশ্চিন্তা ছিল মুন্নীর নিত্যসঙ্গী। মেধার জোরে সব বাধা জয় করে মেডিক্যালে পড়ার সুযোগ পেলেও আর্থিক দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরে। বাকী বিল্লাহ ও রওশন আরা খাতুনের চার সন্তানের মধ্যে মুন্নী বড়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বাবা। নিজ বাড়ির দুই কাঠা জায়গা ছাড়া কিছুই নেই তাদের।
মুন্নী ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। পোড়াডাঙ্গা হাজী এজেম আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ছোট থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। স্বপ্নপূরণের জন্য অধিকাংশ সময় লেখাপড়ার পেছনে ব্যয় করেছেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।