ঢাকাশনিবার , ২৫ মার্চ ২০১৭
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কাহারোল
  5. কুড়িগ্রাম
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খানসামা
  9. খেলা
  10. গাইবান্ধা
  11. ঘোড়াঘাট
  12. চাকরী বার্তা
  13. চিরিরবন্দর
  14. জাতীয়
  15. ঠাকুরগাঁও
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বেড়েছে যক্ষ্মা রোগী!

মোফাচ্ছিলুল মাজেদ
মার্চ ২৫, ২০১৭ ৩:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দিনাজপুর বার্তা২৪ ডেক্স: এক বছরে বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগী বেড়েছে ১৪ হাজার; আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে রোগ শনাক্ত করায় আরও বেশি রোগী ধরা পড়েছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের দাবি।

২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও ব্র্যাকসহ বেশ কয়েকটি সহযোগী সংস্থার যৌথ আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে রোগীর পরিসংখ্যান ও রোগ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়।

ব্র্যাকের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মাসুদ রানা জানান, গত বছর বাংলাদেশে মোট ২ লাখ ২৩ হাজার ৯২২ জন যক্ষ্মারোগীকে শনাক্ত করা গেছে। ২০১৫ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯ হাজার ৪৩৮ জন।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বিআরটিবির মুখ্য কর্মকর্তা ডা. নাজিস আরেফিন সাকি বলেন, রোগ শনাক্তে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করায় রোগী সংখ্যা বেড়েছে।

তিনি জানান, গত বছরদেশের মোট যক্ষ্মারোগীর ৬১ শতাংশকে শনাক্ত করা গেছে; যা ২০১৫ সালে ছিল ৫৭ শতাংশ।

“যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সাফল্য এসেছে, কিন্তু এখনও ৩৯ শতাংশ রোগী শনাক্তের বাইরে রয়েছে। শনাক্ত থেকে বাদ পড়াসহ মোট যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার হবে বলে ধারণা করছি আমরা।”

ডা. মাসুদ রানা বলেন, ২০১৪ সালে ১৫ বছরের নিচে ৭ হাজার ৯৮৪ জনের যক্ষ্মা শনাক্ত করেছিলেন তারা। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ২৯১ জন।

তিনি জানান, ২০১৫ সালে ওষুধ প্রতিরোধী (এমডিআর) যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৭০০ জন। শনাক্ত হওয়া সবরোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে প্রতি বছর বিভিন্ন রোগে মারা যাওয়া মানুষের প্রতি এক লাখে ৪৫ জন যক্ষ্মায় মারা যায় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘গ্লোবাল টিবি রিপোর্টে’ দেওয়া তথ্য জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার চিকিৎসায় বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি বলেও দাবি করেন ডা. মাসুদ।

“বিশ্বে এমডিআরের ক্ষেত্রে সাফল্য ৫২ শতাংশ হলেও বাংলাদেশে এই সাফল্য আরও বেশি, প্রায় ৭০ শতাংশ।”

যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকারি প্রচার যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকারি প্রচার

যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে এক হাজার ১১৫টি গবেষণাগার, ৪০টি ইকিউএ ল্যাবরেটরি ও ৩৯টি জিন এক্সপার্ট কার্যক্রম আছে বলেও জানান তিনি।।

“যক্ষ্মায় মৃত্যুহার ৯৫ শতাংশ কমানো এবং যক্ষ্মা রোগের প্রকোপের হার ৯০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি,” বলেন তিনি।

বিনামূল্যে দেওয়া যক্ষ্মার চিকিৎসায় মানুষের আস্থা কম বলে মন্তব্য করেন বিআরটিবির লাইন ডিরেক্টর ডা. রুসেলি হক। তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে এই চিকিৎসার সুফল সম্পর্কে প্রচারণার দিকটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. ভিকারুন্নেসা বেগম বলেন, “অনেকেই শিশুদের যক্ষ্মার বিষয়ে জানে না। শিশুদেরও যক্ষ্মা হয়, সেই ক্ষেত্রে সময় মতো শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া গেলে সহজেই ভালো হয়।”

সংবাদ সম্মেলনে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার কথাও উল্লেখ করা হয়। এগুলো হচ্ছে- চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত হাসপাতালের অভাব, দক্ষ জনবল স্বল্পতা, ভাসমান মানুষের বসতি, নগরে যক্ষ্মা ও চিকিৎসা জটিলতা, রোগীকে জাতীয় যক্ষ্মা কর্মসূচিতে না পাঠানো, জিন এক্সপার্ট মেশিনের স্বল্পতা, গার্মেন্টস ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সহজে চিকিৎসাসেবার প্রবেশগম্যতা না থাকা।

রেসপারেটরি মেডিসিনের কনসালট্যান্ট ডা. আসিফ মুজতবা মাহমুদ, ম্যানেজমেন্ট সাইন্সেস ফর হেলথের কান্ট্রি প্রজেক্ট ডিরেক্টর অস্কার কর্ডন, বাংলাদেশ ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র ইনফেকশাস ডিজিজ অ্যাডভাইজার ড. চার্লস লারম্যান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।