ঢাকাবুধবার , ৫ মে ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. অর্থ ও বাণিজ্য
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কাহারোল
  5. কুড়িগ্রাম
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খানসামা
  9. খেলা
  10. গাইবান্ধা
  11. ঘোড়াঘাট
  12. চাকরী বার্তা
  13. চিরিরবন্দর
  14. জাতীয়
  15. ঠাকুরগাঁও
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বৈশ্বিক খাদ্যশস্যের মজুদ পাঁচ বছরের সর্বনিম্নে নামবে

দিনাজপুর বার্তা
মে ৫, ২০২১ ৩:২৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

দিনাজপুর বার্তা ২৪.কম ডেস্ক ॥ করোনা মহামারীর সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে বৈশ্বিক খাদ্যশস্য খাত। তবে এ খাতে মজুদ কমতে শুরু করছে। ২০২০-২১ বিপণন মৌসুমে বৈশ্বিক খাদ্যশস্যের মজুদ কমে পাঁচ বছরের সর্বনিম্নে নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিল (আইজিসি)। এ বিপণন মৌসুমে খাদ্যশস্যের মজুদের পরিমাণ কমে দাঁড়াবে ৬০ কোটি ৯০ লাখ টনে। বৃহস্পতিবার আইজিসি কর্তৃক বৈশ্বিক খাদ্যশস্যের বাজার নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। আইজিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় শস্যের ব্যবহার বেড়েছে। তবে টানা দুই মৌসুমে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে মজুদের পরিমাণ। চলতি মৌসুমে বৈশ্বিক খাদ্যশস্যের উৎপাদন মাস ও বছরভিত্তিক হিসাবে বেড়েছে। উৎপাদন গত মাসের তুলনায় ২ শতাংশ বেড়ে ২০ লাখ টনে পৌঁছেছে। এ ছাড়া গত বছরের তুলনায় উৎপাদন ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২২২ কোটি ৬০ লাখ টনে। এদিকে শিল্প খাতে ভুট্টা ও সাধারণ ব্যবহারে গমের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আইজিসি বলছে, গত বছরের তুলনায় ৩ কোটি ৬০ লাখ টন দানাদর খাদ্যশস্য উৎপাদন বেড়েছে। তবে এ বছর শস্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ টন। ফলে গত বছরের তুলনায় শস্যের ৮০ লাখ টন মজুদ কমে গেছে। গত আট বছরের তুলনায় এবার ভুট্টার মজুদে বড় ধরনের ধস নেমেছে। এটিকে বৈশ্বিক খাদ্যশস্যের মজুদ হ্রাসের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে গমের মজুদ ঊর্ধ্বমুখী। আইজিসির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯-২০ বিপণন মৌসুমে গমের মজুদ ছিল ২৭ কোটি ৮০ লাখ টন। চলতি মৌসুমে তা বেড়ে ২৮ কোটি ৯০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। ঠিক একই সময়ে ভুট্টার মজুদ কমে গেছে। শস্যটির উৎপাদন ১ কোটি ১২ লাখ টন থেকে বেড়ে ১ কোটি ১৪ লাখ টনে পৌঁছলেও মজুদ ২৬ মিলিয়ন টন কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইজিসি। এদিকে বৈশ্বিক খাদ্যশস্যের মোট ব্যবহার চলতি মৌসুমে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইজিসি জানায়, এবার গমের চাহিদা ২০ মিলিয়ন টন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দানাদার খাদ্যশস্যটির ব্যবহার আগের তুলনায় বেড়েছে। বৈশ্বিক সয়াবিন উৎপাদনে শীর্ষস্থানীয় দেশ ব্রাজিল। ২০২০-২১ বিপণন বছরের মাসভিত্তিক হিসাবে শস্যটির উৎপাদন ১ শতাংশ বেড়ে ৩৬ কোটি ২০ লাখ টনে পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি। এশিয়ার প্রধান ফসল চাল। উৎপাদন, ব্যবহার, মজুদ ও বিপনণের ক্ষেত্রে ফসলটি এশিয়ার বাজারে বড় জায়গা দখল করে আছে। ২০২০-২১ মৌসুমে বৈশ্বিক চাল উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি ৪০ লাখ টন, যা রেকর্ড সর্বোচ্চ। এ ফসলের ব্যবহারের পরিমাণও রেকর্ড সর্বোচ্চ বেড়ে ৫০ কোটি ৪০ লাখ টনে পৌঁছেছে। আইজিসি শস্য ও তেলবীজ সূচক (জিওআই) পণ্যের গড় মূল্য পরিমাপ করে। খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে এ মূল্যসূচক গত মাসের চেয়ে ৮ শতাংশ বেড়ে ২৫৪-তে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ সূচক বেড়েছে ৫৪ শতাংশ, যা ২০১৩ সালের পর এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আইজিসি বলছে, ভুট্টা, গম, সয়াবিন ও যবের জোরালোভাবে মূল্যবৃদ্ধির কারণে খাদ্যশস্যের মূল্যসূচক গত আট বছরের শীর্ষে পৌঁছেছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।