ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি :- ৭১ স্বাধীনতা আন্দোলনে দেশের সর্বস্তরের মানুষের অংশ গ্রহন ছিল। এটা অস্বীকার কেউই করেন না। পরিবর্তী সময়ে অনেকে ভারতে আশ্রয় গ্রহন করে, অনেকে আবার মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। আবার কেউ দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় সরাসরি ও গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা করেন, এতে অনেক ব্যক্তি রাজাকার আলবদর দ্বারা নিহত হন। যুদ্ধকালীন সময় মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়, খাদ্য ও অস্ত্র বহন এসব কাজে সাহসী যুবকদের অংশগ্রহন ছিল, আজ স্বাধীনের পর আজ সে সময়ের যুবক আজকের অসহায় বৃদ্ধদের কেউ খোঁজ-খবর রাখেন না। তারা নিজেরা নিজেদের সংগঠিত করতে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তুলে যাহা বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিল এর নিবন্ধন নং-জামুকা/রেজিঃওয়াটি/নিবন্ধন নং-২৩৯/২০১৭ লাভ করে এবং সারা দেশে ৬৪ জেলার জেলা উপজেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্য সংগ্রহ ও কমিটি গঠন চলছে। গত ৯ জুলাই দিনাজপুর জেলা শহরের মর্ডান মোড়ে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কার্য্যালয়ে সকাল ১১ টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলম (খুশী)। সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা সভাপতি মঞ্জুরুল আলম,অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি ফরহাদ হোসেন খোকন, সাইদুর রহমান,আজাহার আলী রাজা,মহসীন আলী,আব্দুল আজিজ,দয়ারাম রায় (সাংবাদিক) প্রমুখ। বৈঠকে বিভিন্ন এলাকার সদস্য দুঃখ করে বলেন,করোনা মহামারীতে দেশের সবাই সহযোগীতা পেলেও ৭১ এর সহ-যোগী মুক্তিযোদ্ধারা কিছুই পায় নি বলে অনেকে অভিযোগ তোলেন। আজ তারা অনেকেই বার্ধক্য,উপার্জনহীন,কর্মহীন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বয়স্কভাতা সহ কিছুই জোটেনি। তারা কাউকে কিছু বলতে পারেন না বলে জানান। তারা আরো বলেন, অনেকের ছেলে-মেয়েরা দেখে না কার কাছে অভিযোগ করি। সাইদুর রহমান নামে সাধারন সদস্য দুঃখ করে কান্নাজরিত হয়ে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সহ-যোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের রংপুর বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক খোরশেদ আলম (খুশী) তার বক্তব্যে বলেন, আমরা সদ্য সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছি। দেশরত্ন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার অনুদান থেকে এ দেশের কেউই বাদ পড়ে নি,পড়বেও না। সবার দিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে তার। করোনা দূর্যোগ মুর্হুত্বে অনেক কথা আসতে পারে। স্বাধীনতা বিরোধীরা আজও সক্রিয়। সে ব্যাপারে আমাদের সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। স্বাধীনতা এনেছি স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব স্বাধীনতা ভোগী সকল মানুষের। বৈঠকে উপস্থিত সাধারন সদস্যদের মাঝে সহ-যোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের পরিচয় পত্র ও ব্যাচ প্রদান করা হয়। #