দিনাজপুর বার্তা২৪.কম :-বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ দিনাজপুর সদর-৩ আসনের এমপি আধুনিক দিনাজপুরের রুপকার মাটি ও মানুষের নেতা এম. ইকবালুর রহিম বলেছেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা গনতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও বলিষ্ট নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধির সোপানে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময়ের অজোপাড়াগাও আজ আধুনিক শহরে পরিণত হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে গেছে। সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা-মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে, বই বিতরন ও উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। গ্রামীন কাঁচা রাস্তাগুলো পাকা রাস্তায় পরিণত হচ্ছে বিভিন্ন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মসজিদ-মন্দিরসহ বিভিন্ন উপসনালয় গুলে বহুতল ভবনের পরিণত হচ্ছে। বেকারযুব-যুবাদের কর্মসংস্থানের সু-ব্যবস্থা করাহচ্ছে। এটা সম্ভব হচ্ছে দুর্নীতি মুক্ত সু-শিক্ষিত আলোকিত সমাজ বির্ণিমানের ফলে।
গত শুক্রবার দিনাজপুর সদর উপজেলার ৩নং ফাজিলপুর ইউনিয়নে দুপুর একটার সময় ঐতিহ্যবাহী রানীগঞ্জহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের দ্বিতল ভবনের শুভ উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে অত্র মসজিদে সভাপতি সাবেক তহসিলদার আলহাজ্ব মোহসিন আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি উপরোক্ত বক্তব্য পেশ করেন।
তিনি আরো বলেন জঙ্গী,সন্ত্রাস,মাদক,মতাদর্শিক সহিংসতা,বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে এবং দুনীতি নির্মূলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। সিভিল ও পুলিশ প্রশাসন এ ক্ষেত্রে আপামর জনগনকে নিয়ে প্রশংসনীয় কার্যক্রম সুচারু ভাবে পরিচালনাকরছে। ২০২০ মুজিব শতবর্ষে আমাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্ণিমানে ও দুনীতি মূক্ত বাংলাদেশ গঠনে অনন্য অবদান রাখতে হবে। বাঙ্গালী জাতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব স্বাধীনতা অর্জন করেছিল,আজ তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন করছে। ২০২০ মুজিব শতবর্ষে আমাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্ণিমানে ও দুনীতি মূক্ত বাংলাদেশ গঠনে অনন্য অবদান রাখতে হবে। স্বাধীনতার পরে যে কয়টি সরকার এসেছে তার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সরকার ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সমন্বিত উন্নয়নে অকল্পনীয় অবদান রেখেছে। বাংলাদেশ আজ ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বের বিশ্বয় হয়ে অর্থনীতিক সমৃদ্ধি- জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এক সময়ে গ্রাম বাংলার মানুষ হারিকেন কুপিতে কেরোসিনের তৈল দিয়ে সাংসারিক কার্যক্রম পরিচালনা করত। এখন বিদ্যুৎতায়নের ফলে আলোকিত ও ঝলমলে ডিজিটাল গ্রাম বাংলা গড়ে উঠেছে। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এগার বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। রুপকল্প ২০২১-২০৪১ বাস্তবায়নে আমাদেরকে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবন্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। পিতামাতা গুরুজনদের সেবা করতে হবে।পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী আবাল বৃদ্ধ বনিতা ছোট ও বড়দের সম্মান করতে হবে। আল্লার হক বান্দার হক আদায় করতে হবে। ইনছাফ ভিত্তিক সমাজ বনির্মান করতে হবে। পবিত্র কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক চলতে হবে। তিনি বলেন এই মসজিদে আমি ইতি পূর্বে দুইবার এসেছিলাম পবিত্র এই মসজিদটির জীর্ণ-শীর্ণ অবকাঠামো দেখে তিন লক্ষ সাতান্ন হাজার টাকা সরকারী অনুদান বরাদ্দ দিয়েছিলাম। আজ মসজিদটির ঝলমলে পরিচ্ছন্ন অবকাঠামো দেখে আনন্দিত হয়েছি। উপর তলার দ্বিতল ভবনের বির্নিমানের জন্য আরো পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষন করছি। আমরা যেখানে ওয়াদা করি তা সাধ্যমত পূরন করি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদ সরকার, কোতয়ালী ওসি মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন, শহর আওয়ালীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রায়হান কবির সোহাগ, সাধারনসম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজু, কোতয়ালীআওয়ামীলীগেরসাংগঠনিকসম্পাদকমানিকরঞ্জনবসাক, ধর্ম বিষয়কসম্পাদক তোজাম্মেল হক তোজা, দৈনিক তিস্তা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আলহাজ্ব ওয়াহেদুল আলম আটিষ্ট, ইউসূফ আলী
তালুকদার,উত্তমকুমারবসাক,ফুলবনফাজিলডিগ্রীমাদরাসারসভাপতিসাংবাদিকআলহাজ্ব মোঃ দবিরুলইসলাম,হাজী মোঃপলাশ, আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ শাহ, মোঃধনীমদ্দিন শাহ,অভিজিৎ বসাক, মেম্বার শরিফুল ইসলাম লিটন, সাখাওয়াত হোসেন শাহ, হিমাদ্রী রায়,মোতাহার হোসেন, মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃমকবুল হোসেনমাষ্টার, কোষাধক্ষ্য আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী, প্রকৌশলী মোঃ খবির উদ্দীন আহম্মেদ, ইমাম তোজাম্মেল হোসেন, চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, প্রাপ্তন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোবারক আলী শাহ, আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম, আলহাজ্ব আব্দুল জলিল, আলহাজ্ব মাওলানা মোঃআব্দুল কুদ্দুস আনসারী প্রমূখ। প্রধানঅতিথি হুইপ ইকবালুর রহিম উক্ত অনুষ্ঠানে এসে পৌছালে মসজিদ কমিটি ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগওয়ার্ড আওয়ামীলীগএবং বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠন নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে মোনাজাত পরিচালনা করেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় হযরত মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস আনসারী।
